ট্রেডিং কৌশল হল বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করার জন্য ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস এর উপর ভিত্তি করে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের করার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য সিস্টেমেটিক ট্রেডিং কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত নানারকম তথ্য এবং সংবাদের বিশাল প্রবাহের মধ্যেও নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় মনযোগী থাকতে সাহায্য করে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু স্টক ট্রেডিং কৌশলঃ
এটি একটি বিনিয়োগ কৌশল যেখানে আপনি শেয়ারের বাজারমূল্য এর অন্তর্নিহিত মূল্যের চেয়ে কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করবেন এবং পরবর্তীতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় মূল্য বেড়ে গেলে তা বিক্রয় করবেন।
- Book the profit when target is achieved:
বিনিয়োগকৃত শেয়ারের মূল্য একটি পুর্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় বেড়ে গেলে বিনিয়োগের কিছু অংশ বিক্রি করে প্রফিট বুক করতে পারেন। অন্যথায় সামগ্রিক বিনিয়োগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই কৌশলটিতে যখন একটি স্টকের মূল্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে যায় তখন উক্ত স্টকটি বিক্রি করার জন্য ব্রোকারকে একটি অগ্রিম আদেশ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আপনার বিনিয়োগের ক্ষতির মাত্রাকে সীমিত করতে পারেন।
কোন শেয়ারের মূল্য খুব দ্রুত এবং বড় মাত্রায় কমে যাওয়ার সময় সেই শেয়ারে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন হতে পারে। শেয়ারের মূল্য কী পরিমাণে কমতে পারে সেই সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা না থাকলে এই ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে পারেন।
মার্জিন লোন নিয়ে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কারণ বিনিয়োগের লাভ বা ক্ষতি যাই হোক না কেন মার্জিন লোন সুদসহ ব্রোকারকে পরিশোধ করতেই হবে। মার্জিন লোনের সুদের চেয়ে বিনিয়োগের প্রকৃত রিটার্ণ যদি বেশি না হয় তাহলে বিনিয়োগকারী ক্ষতির মধ্যে পড়তে পারেন। অতএব ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে মার্জিন লোন এড়িয়ে চলা উচিত।
- Portfolio Diversification:
আপনার পোর্টফোলিওর সামগ্রিক ঝুঁকি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের আর্থিক সিকিউরিটিজ ও সম্পদে অর্থ বিনিয়োগ করুন যাতে একটি সিকিউরিটিজ এর নেগেটিভ পারফরম্যান্স আপনার পুরো পোর্টফোলিওকে প্রভাবিত না করে।
- Focus on cash rich companies:
বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে এবং নিয়মিত লভ্যাংশ পেতে এমন সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারেন যাদের পর্যাপ্ত পরিমানের নগদ রিজার্ভ রয়েছে।
- Control your greed and fear:
ক্রমবর্ধমান বা পতনশীল বাজারে স্টক ট্রেড করার সময় আপনার লোভ এবং ভয়ের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন এবং আপনার বিনিয়োগকৃত সিকিউরিটিজের মৌলিক বিষয়গুলিতে নজর দিন।
- Avoid rumors and herd behaviors:
শেয়ার ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে কোন প্রকার গুজবের বশবর্তী না হয়ে বা অন্যের কার্যকলাপ দেখে প্রভাবিত না হয়ে স্টকের ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিকাল এনালাইসিস কে প্রাধান্য দিন।
- Keep some cash to rebalance your portfolio:
আপনার বিও একাউন্টের সম্পূর্ণ টাকা একবারে বিনিয়োগ না করে কিছু অংশ আপনার পোর্টফলিও মিক্সকে রিব্যালেন্সিং করার জন্য রেখে দিতে পারেন। এতে করে মন্দা বাজারেও আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত থাকতে পারে।