টেকনিকাল্ ইন্ডিকেটর: টেকনিকাল এনালাইসিস পর্ব ৪
এই আর্টিকেলে টেকনিকাল ইন্ডিকেটর এবং টেকনিকাল এনালাইসিসে ইন্ডিকেটর ও অসিলেটরের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব। এছাড়াও লিডিং ও ল্যাগিং ইন্ডিকেটরের পার্থক্য এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানব। অনেক জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর অসিলেটর রূপে চার্টে দেখা যায়। এটি বিবেচনায় রেখে অসিলেটর কিভাবে এনালাইসিস করতে হয় এবং অসিলেটর কিভাবে সিগন্যাল দেয় তা সম্পর্কে জানব।
টেকনিকাল ইন্ডিকেটর কি?
টেকনিকাল ইন্ডিকেটর হচ্ছে কিছু ডাটা পয়েন্টের সিরিজ যা প্রাইসের উপর গানিতিক ফর্মুলা প্রয়োগ করে বের করা হয়। কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাইসের হাই (High),লো(Low), ওপেনিং প্রাইস(Opening Price), ক্লোজিং প্রাইস(Closing Price) এদের যে কোনো একটির উপর ভিত্তি করে ইন্ডিকেটর তৈরি হতে পারে। কিছু ইন্ডিকেটর ক্লোসিং প্রাইসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। অপরদিকে কিছু ইন্ডিকেটর ভলিউম এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, এমনকি ওপেন ইন্টারেস্ট এর উপর ভিত্তি করেও কিছু ইন্ডিকেটর কাজ করে। প্রাইস ডাটা ইন্ডিকেটরের ফর্মুলায় বসালে ডাটা পয়েন্ট তৈরি হয় উদাহরণস্বরূপ তিনটি ক্লোজিং প্রাইসের এভারেজ হচ্ছে একটি ডাটা পয়েন্ট: (41+43+43)/3=42.33
প্রকৃতপক্ষে,একটি ডাটা পয়েন্ট তেমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় না এবং একটি ইন্ডিকেটর তৈরি হওয়ার জন্য একটি ডাটা যথেষ্ট নয়। তাই একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের অন্তর্ভুক্ত অনেকগুলি ডাটা পয়েন্টের সম্মিলিতরূপ একটি ইন্ডিকেটরে প্রকাশিত হয়। টেকনিকাল অ্যানালাইসিসের জন্য ইন্ডিকেটরগুলো গ্রাফিক ফরমেটে ডাটা পয়েন্ট প্রকাশ করে থাকে।
টেকনিকাল ইন্ডিকেটর সাধারণত প্রাইস চার্টের নিচের দিকে কিংবা উপরের দিকে যুক্ত করা হয়। ইন্ডিকেটর প্রাইস চার্টে যুক্ত করার পর প্রাইজের সাথে ইন্ডিকেটর তুলনা করে ট্রেডাররা টেকনিকাল এনালাইসিস করে থাকেন। অনেক সময় সরাসরি তুলনা সুবিধার্থে চার্টের নিচে ইন্ডিকেটর যুক্ত না করে বরং প্রাইসের উপরে ইন্ডিকেটর যুক্ত করা হয় যেমন: মুভিং এবারেজ সবসময় প্রাইস চার্টের উপরেই যুক্ত করা হয়।
টেকনিকাল ইন্ডিকেটর কি সুবিধা দেয়?
টেকনিকাল ইন্ডিকেটর একটি কোম্পানির শেয়ারের প্রাইস কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এনালাইসিস করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। যেমন ,মুভিং এভারেজ সহজ গাণিতিক ফর্মুলার উপর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা একটি ইন্ডিকেটর এবং এটি বুঝাও তুলনামূলক সহজ। অপরদিকে কিছু জটিল ইন্ডিকেটর ও আছে যেমন, স্টোকাস্টিক অসিলেটর(Stochastic Oscillator)। এটি একটি জটিল গানিতিক ফর্মুলার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এবং এটির ব্যবহার পুরোপুরি আয়ত্ত করাও সময় সাপেক্ষ।
সিম্পল মুভিং এভারেজ (Simple Moving Average) একটি ইন্ডিকেটর যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন সিকিউরিটির এভারেজ প্রাইস বের করে দেয়। কোন সিকিউরিটির প্রাইসের মুভমেন্ট যদি অনেক বেশি হয় অর্থাৎ কোন সিকিউরিটি যদি অনেক বেশি ভলাটাইল(Volatile) হয় তাহলে সিম্পল মুভিং এভারেজ ওই সিকিউরিটির প্রাইস ডাটাকে স্মুথ (Smooth) করতে সহায়তা করে। এতে করে টেকনিকাল এনালিস্টরা প্রাইসের সার্বিক গতিবিধি সহজে বুঝতে পারেন।
ইন্ডিকেটর কেন ব্যবহার করবো?
ইন্ডিকেটর প্রাইসকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। ইন্ডিকেটরের মোমেন্টাম(Momentum) যদি অনেক কমে যায় তাহলে এটি কোন সাপোর্ট ব্রেক করার সম্ভাবনার দিকে লক্ষ্য রাখার ইঙ্গিত দেয়। ইন্ডিকেটরে যদি ডাইভারজেন্স(Divergence) তৈরি হয় তাহলে এটি রেজিস্টেন্স ব্রেকআউট এর দিকে লক্ষ্য রাখার ইঙ্গিত দেয়।
অন্যান্য টেকনিকাল এনালাইসিস টুলস দিয়ে করা এনালাইসিস নিশ্চিত হওয়ার জন্য টেকনিকাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয়।প্রাইস চার্টে যদি ব্রেকআউট দেখা যায় তাহলে কোন টেকনিকাল এনালিস্ট মুভিং এভারেজ ক্রসওভার দিয়ে সেটি নিশ্চিত হতে পারেন।কোন স্টক যদি একটি সাপোর্ট ভেঙ্গে ফেলে একই সাথে লো (Low) অন ব্যালেন্স ভলিউম (OBV) ওই স্টকের উইকনেস(Weakness) নিশ্চিত করে।
কোনো কোনো ইনভেস্টর বা ট্রেডারের মতে ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে প্রাইসের ভবিষ্যৎ গতিবিধি আন্দাজ করা যায়। যেমন,কোনো স্টকের প্রাইস চার্টে RSI যদি Overbought হয়ে যায় তাহলে নিকট ভবিষ্যতে সেই স্টকের প্রাইস কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অর্থাৎ আপট্রেন্ডে চলমান কোনো স্টকের প্রাইস ইন্ডিকেটরে Overbought হয়ে গেলে ঐ স্টক আপট্রেন্ড থেকে ডাউনট্রেন্ডে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
একইভাবে,কোনো স্টক এর প্রাইস চার্টে RSI যদি Oversold হয়ে যায় তাহলে নিকট ভবিষ্যতে সেই স্টকের প্রাইস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অর্থাৎ, ডাউনট্রেন্ডে চলা কোনো স্টক ইন্ডিকেটরে Oversold হয়ে গেলে ঐ স্টক ডাউন ট্রেন্ড থেকে আপট্রেন্ডে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এছাড়াও আপট্রেন্ডের শেষে ইন্ডিকেটরে ডাইভারজেন্স সৃষ্টি হলে চলমান আপ ট্রেন্ড, ডাউন ট্রেন্ডে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।একইভাবে,ডাউনট্রেন্ডের শেষে ডাইভারজেন্স সৃষ্টি হলে চলমান ডাউনট্রেন্ড,আপট্রেন্ডে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ইন্ডিকেটর এর প্রকারভেদ
লিডিং ইন্ডিকেটর:(Leading Indicator)
লিডিং ইন্ডিকেটর হচ্ছে সেসকল ইন্ডিকেটর যারা কোনো স্টকের প্রাইস মুভমেন্টের সাথেই তৎক্ষণাৎ ডাটা প্রকাশ করে। অধিকাংশ লিডিং ইন্ডিকেটর বিগত একটি নির্দিষ্ট সময় এনালাইসিস করে ডাটা প্রকাশ করে।যেমন,20 Day Stochastic Oscillator বিগত 20 দিনের প্রাইসের ডাটা ইন্ডিকেটরের ফর্মুলায় ব্যবহার করে ডাটা প্রকাশ করে।কিছু জনপ্রিয় লিডিং ইন্ডিকেটর হচ্ছে-
- RSI (Relative Strength Index),
- CCI (Commodity Channel Index),
- Momentum,
- Stochastic Oscillator.
মোমেন্টাম অসিলেটর (Momentum Oscillator):
অধিকাংশ লিডিং ইন্ডিকেটরই মোমেন্টাম অসিলেটররূপে আসে। মোমেন্টাম যেকোনো সিকিউরিটির প্রাইসের পরিবর্তনের হার পরিমাপ করে থাকে। কোন সিকিউরিটির প্রাইস যত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে মোমেন্টাম তত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে কোন সিকিউরিটির প্রাইসের বৃদ্ধির হার কমে গেলে মোমেন্টাম ও স্লো হয়ে যাবে।
কোনো স্টকের প্রাইস যদি একটি রেঞ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে আর মোমেন্টাম যদি কমতে থাকে তাহলে এটি বিয়ারিশ(Bearish) সিগনাল বুঝায় না বরং এটি একটি মাঝামাঝি মোমেন্টাম লেভেলের ফিরে যাচ্ছে তা বুঝায়।
লিডিং ইন্ডিকেটর এর সুবিধা :
১. লিডিং ইন্ডিকেটর ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সুবিধা লিডিং ইন্ডিকেটর খুব দ্রুত এন্ট্রি এবং এক্সিট সিগনাল দেয়।
২. লিডিং ইন্ডিকেটর অধিক সিগনাল তৈরি করে এবং ট্রেডারদের অধিক ট্রেড করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
৩. চলমান ট্রেন্ড শক্তিশালী বা দুর্বল হওয়া সম্পর্কে লিডিং ইন্ডিকেটর আগেই ট্রেডারদের সতর্ক করতে পারে।
৪. লিডিং ইন্ডিকেটর ট্রেন্ডিং মার্কেটে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারনত চলমান শক্তিশালী ট্রেন্ডের পক্ষেই ব্যবহার করা হয়। চলমান শক্তিশালী ট্রেন্ড যদি আপট্রেন্ড হয় তাহলে ট্রেডাররা লিডিং ইন্ডিকেটর থেকে প্রাপ্ত Buy সিগন্যালগুলোতে ট্রেড করার সুযোগ খোঁজেন এবং Sell সিগন্যালগুলো এড়িয়ে চলেন। কারণ,শুধুমাত্র ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল এর উপর ভিত্তি করে চলমান শক্তিশালী ট্রেন্ডের বিপক্ষে ট্রেড নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৫. চলমান ট্রেন্ডটি যদি আপট্রেন্ড হয় তাহলে লিডিং ইন্ডিকেটরের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবহার হলো ওভারসোল্ড(Oversold) কন্ডিশনে ঐ স্টক কেনার সুযোগ খুজা।
৬. লিডিং ইন্ডিকেটর অনেক দ্রুত সিগনাল দেয় বিধায় এটি কোন ট্রেডে দ্রুত এন্ট্রি এবং এক্সিট করার সুযোগ করে দেয় যা অধিক মুনাফা নিশ্চিত করে।
লিডিং ইন্ডিকেটর এর অসুবিধা:
১. লিডিং ইন্ডিকেটর অনেক সময় ভুল সিগন্যাল দেয়।
২. ট্রেন্ড খুবই শক্তিশালী হলে লিডিং ইন্ডিকেটর তখন অনেকসময় সঠিকভাবে কাজ করে না।
ল্যাগিং ইন্ডিকেটর (Lagging Indicator):
ল্যাগিং ইন্ডিকেটর কোনো সিকিউরিটির প্রাইস অনুসরণ করে ডাটা প্রকাশ করে। ল্যাগিং ইন্ডিকেটর কে ট্রেন্ড ফলোইং (Trend Following) ইন্ডিকেটরও বলা হয়। কোনো সিকিউরিটি যখন একটি শক্তিশালী ট্রেন্ডে চলমান থাকে তখন ল্যাগিং ইন্ডিকেটর ভালো কাজ করে। ল্যাগিং ইন্ডিকেটর তৈরি করা হয়েছে শক্তিশালী ট্রেন্ডে ট্রেডারদের এন্ট্রি নেওয়ার সুবিধার্থে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন্ডটি শক্তিশালী থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত যাতে ট্রেডাররা নিশ্চিন্তে তাদের কেনা শেয়ার ধরে রাখতে পারেন। এছাড়াও এটি ট্রেন্ড দুর্বল হয়ে গেলে সিগনাল দেয় যাতে ট্রেডাররা অধিক মুনাফায় শেয়ার বিক্রি করতে পারেন।
ল্যাগিং ইন্ডিকেটর ট্রেন্ডিং মার্কেট ছাড়া ভালো কাজ করে না। যেমন, Sideway/Ranging মার্কেটে এটি অনেক ভুল সিগনাল দেয় যা ট্রেডারদের বিভ্রান্ত করে। তাই Sideway/Ranging মার্কেটে যেখানে প্রাইস একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে উঠানামা করে সেসব ক্ষেত্রে ল্যাগিং ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা উচিত নয়। কয়েকটি জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর হলো-
- Moving Average (Simple Moving Average, Exponential Moving Average, Weighted Moving Average)
- MACD (Moving Average Convergence Divergence)
ল্যাগিং ইন্ডিকেটরের সুবিধা:
১. ল্যাগিং ইন্ডিকেটর এর একটি সুবিধা হল এটি ট্রেন্ড ফলোয়িং ইন্ডিকেটর হওয়ায় এর সাহায্যে একটি শক্তিশালী ট্রেন্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থেকে বড় মুনাফা অর্জন করা যায়।
২. ল্যাগিং ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ।
৩. ট্রেন্ড যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ল্যাগিং ইন্ডিকেটর তত কম সিগন্যাল দিবে বিধায় একটি এন্ট্রি অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়।
ল্যাগিং ইন্ডিকেটরের অসুবিধা:
১. ল্যাগিং ইন্ডিকেটর Sideway/Ranging মার্কেটে তার কার্যক্ষমতা পুরোপুরি হারায়। Sideway/Ranging মার্কেটে এটি অনেক ভুল সিগনাল দেয়।
২. ল্যাগিং ইন্ডিকেটরের আরেকটি অসুবিধা হলো এর সিগনাল তুলনামূলক দেরিতে আসে। ট্রেন্ড ফলোইং ইন্ডিকেটর হওয়ায় ল্যাগিং ইন্ডিকেটর একটি ট্রেন্ড পরিপূর্ণভাবে শুরু হওয়ার পরে এটি সিগনাল দেয়। যেমন, একটি মুভিং এভারেজ ক্রসওভার সিগন্যাল দিতে যত সময় নেয় ততক্ষণে প্রাইসেরঅনেক হ্রাস-বৃদ্ধি হয়ে যায়। অর্থাৎ,ল্যাগিং ইন্ডিকেটর দিয়ে একটি ট্রেন্ডের একদম শুরু থেকে ট্রেড করে তা থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয় না।
ইন্ডিকেটর ব্যবহারে পরামর্শ:
১. একজন ট্রেডারের প্রাইস চার্ট এনালাইসিস করার পাশাপাশি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা উচিত। প্রাইস চার্ট এনালাইসিস করে একজন ট্রেডার যে সিদ্ধান্ত নেয়, ইন্ডিকেটর অনেক সময় এর বিপরীত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। ইন্ডিকেটর প্রাইস অ্যাকশনকে কিছু ফর্মুলার মাধ্যমে ফিল্টার করে আমাদের কাছে প্রকাশ করে কিন্তু ইন্ডিকেটরের ডাটায় হুবহু প্রাইস অ্যাকশন প্রতিফলিত হয় না। ইন্ডিকেটর ভিত্তিক টেকনিকাল এনালাইসিস করার আগে একজনকে ট্রেডারকে এ ব্যাপার গুলো অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
২. চার্টে একাধিক ইন্ডিকেটর ব্যবহার করার পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক ইন্ডিকেটর একসাথে ব্যবহার করলে তা একজন ট্রেডারের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, সব ইন্ডিকেটর একইসাথে Buy সিগনাল বা Sell সিগন্যাল দেয়না। এক্ষেত্রে কিছু ইন্ডিকেটর Buy সিগনাল এবং কিছু ইন্ডিকেটর Sell সিগন্যাল দিলে কোনটি অধিক গ্রহণযোগ্য একজন নতুন ট্রেডার তা বুঝতে পারেনা। এজন্য একসাথে অনেক বেশি ইন্ডিকেটরের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়।
৩. একজন ট্রেডারের তার ট্রেডিং স্ট্রাটেজির সাথে যেসব ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল মিলে সেসব ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা উচিত। যেকোনো স্ট্রাটেজির সাথে সব ধরণের ইন্ডিকেটর কখনোই মানানসই হয় না। তাই স্ট্র্যাটেজি সাজানোর পূর্বে দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে ইন্ডিকেটর বাছাই করা উচিত।
৪. একই ধরনের ইন্ডিকেটর দুইটি ব্যবহার করা অপ্রয়োজনীয়।যেমন,Stochastic Oscillator এবং RSI দুটি ইন্ডিকেটরেই Overbought এবং Oversold জোন রয়েছে। তাই মোমেন্টাম পরিমাপ করার জন্য একই সাথে এই দুইটি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা অপ্রয়োজনীয়।
৫. দুটি ভিন্ন ধরনের ইন্ডিকেটর একই সাথে Buy সিগনাল দিলে ঐ সিগন্যালটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই একজন টেকনিকাল এনালিস্ট যদি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে চান এর সর্বোত্তম ব্যবহার হবে প্রথমে প্রাইস চার্ট এনালাইসিস করে এবং তারপর একাধিক ইন্ডিকেটরের সিগনালের সহায়তায় ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নেওয়া।
টেকনিকাল এনালাইসিস এর পূর্বের দুটি পর্ব পড়তে –
চার্ট প্যাটার্ন ভিত্তিক টেকনিকাল এনালাইসিস: টেকনিকাল এনালাইসিস পর্ব ৩
ট্রেন্ড সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা : টেকনিকাল এনালাইসিস পর্ব ২
টেকনিকাল এনালাইসিসের প্রাথমিক ধারণা : টেকনিকাল এনালাইসিস পর্ব ১