![SHORT SELL কিভাবে করতে হয়?](https://adda.royalcapitalbd.com/wp-content/uploads/2019/10/Short-Selling.jpg)
SHORT SELL কিভাবে করতে হয়?
শর্ট সেলিং হচ্ছে একটা বিনিয়োগ কৌশল যেখানে একজন বিনিয়োগকারী শেয়ারের দর কমতে পারে এমন অনুমান করে তা আগাম বিক্রয় করে মূনাফা অর্জন করার চেষ্টা করেন।
প্রথমেই জেনে রাখা ভাল যে, শর্ট সেলিং হচ্ছে একটি এডভান্স ট্রেডিং কৌশল। শর্ট সেলিং এর জন্য মার্কেট সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান, এনালাইটিকাল স্কিল এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এখান থেকে যেমন আয় করা সম্ভব তেমনি ঝুঁকির সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
শর্ট সেলিং এমন একটা ব্যবস্থা যেখানে আপনি আপনার ব্রোকার হাউজ থেকে শেয়ার ধার করে বিক্রয় করেন এই মর্মে যে আপনি অনুমান করছেন এই শেয়ারের দর ভবিষ্যতে কমে যাবে। এবং আপনার বিক্রিত মূল্য থেকে কম দরে একই পরিমাণ শেয়ার আপনি ভবিষ্যতে ক্রয় করে আপনার ব্রোকার হাউজেকে ফেরত দিবেন। এই কার্য সম্পাদনের জন্য আপনার ব্রোকারহাউজকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি বা সুদ দিতে হবে।
উদাহরন স্বরুপ বলা যায়, সাকিব জানতে পারলেন যে, এবিসি কোম্পানি বর্তমানে কিছু আর্থিক সমস্যার মধ্যে আছে এবং এর শেয়ার দর কমে যেতে পারে। তাই তিনি মূনাফার উদেশ্যে এবিসি কোম্পানির শেয়ার শর্ট করল। শর্ট করার জন্য সাকিব তার ব্রোকার হাউজকে কল করবে এবং বলবে সে এবিসি কোম্পানির ১০টি শেয়ার শর্ট করতে চায়। সাকিবের পক্ষথেকে শর্ট করার জন্য তার ব্রোকার এবিসি কোম্পানির ১০টি শেয়ার খুজবে তার স্টক ইনভেন্টরি একাউন্টে অথবা তার অন্য কোন গ্রাহকের পোর্টফলিওতে। এই মাধ্যমে শেয়ার না পাওয়া গেলে অন্য ব্রোকারহাউজ থেকেও শেয়ার ধার করতে পারে। ধরে নেই যে সাকিবের ব্রোকার এবিসি কোম্পানির ১০টি শেয়ার তার এক গ্রাহকের পোর্টফলিওতে পেল এবং সেখান থেকে ধার করে মার্কেটে সেল করে দিল। বিক্রির সময় শেয়ার দর ছিল ১০০ টাকা এবং ১০*১০০ = ১০০০ টাকা সাকিবের বিও একাউন্টে জমা হয়ে গেল। এক মাস পরে এবিসি কোম্পানির আর্থিক সমস্যার কারনে এর শেয়ার দর কমে ৭০ টাকা হল। যেহেতু সাকিব এই শেয়ারটিতে শর্ট করেছিল এবং দর কমে গেছে তাই সে এখন এই শেয়ার ক্রয় করে তার এবিসি কোম্পানির শর্ট কাভার করে দিবে। তাই সাকিব তার ব্রোকারহাউজকে কল করে বলবে এবিসি কোম্পানিতে তার পজিশনটি কাভার করে দেবার জন্য। ব্রোকারেজ হাউজ সাকিবের বিও একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে মার্কেট থেকে এবিসি কোম্পানির ১০ টি শেয়ার বাজার মূল্য ক্রয় করবে এবং যার পোর্টফলিও থেকে শেয়ার ধার করা হয়েছে তাকে ফেরত দিয়ে দিবে।
এখন সাকিব এবিসি কোম্পানির শেয়ার শর্ট করেছিল ১০০ টাকায় এবং ক্রয় করেছিল ৭০ টাকায়, অর্থাৎ সাকিব ১০০-৭০=৩০ টাকা শেয়ার প্রতি মূনাফা করলো। এই সম্পূর্ন কাজটির জন্য সাকিবকে তার ব্রোকারহাউজকে কিছু ফি বা সুদ দিতে হবে।
শর্ট সেলিং হচ্ছে অভিজ্ঞ এবং এনালিটিকাল জ্ঞান সম্পন্ন বিনিয়োগকারীদের জন্য কারন এতে ঝুঁকির পরিমাণ অনেক বেশি। কিভাবে শর্ট সেলিংএ লোকসান হবার সম্ভাবনা সীমাহীন বুঝার জন্য নিচের উদাহরণটি দেখি –
ধরে নিন আপনি ১০০ টাকা দিয়ে একটা শেয়ার কিনলেন এবং আপনি এই শেয়ার থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা করতে পারেন ১০০ টাকা। অন্যদিকে যদি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে আপনার লোকসান বাড়তে থাকবে। বস্তুত শেয়ারের দর কত বৃদ্ধি পেতে পারে তার কোন সীমা নেই।
শর্ট সেলিং এর সুবিধাঃ
১. বেশি মূনাফা করা সম্ভব।
২. অল্প মূলধনে ব্যবসা করা যায়।
শর্ট সেলিং এর অসুবিধাঃ
১. সীমাহীন লোকসান হবার সম্ভাবনা।
২. মার্জিন একাউন্ট বাধ্যতামূলক।
৩. সুদ বা ফি দিতে হয়।
যেখানে ঝুঁকি বেশি সেখান থেকে মূনাফা করার সুযোগও বেশি। তাই যারা শর্ট সেলিং এর মত একটি এডভান্স ট্রেডিং কৌশল দিয়ে বিনিয়োগ করতে চান তাদের অবশ্যই স্টপলস টুল ব্যবহার করা উচিৎ এবং অবশ্যই মার্কেট সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকলেই এই কৌশল ব্যবহার করা উচিৎ।
Rakibul Hasan
October 20, 2019Very Informative. Keep it up good work.