
মূল্যস্ফীতির পরিমাপ, কাম্যতা, এবং প্রভাব – মুল্যস্ফীতি পার্ট ২
সূচনা
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করার সাথে সাথে যে বিষয়টি আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান নেয় তা হলো কিভাবে আমরা এই মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করতে পারি। পরবর্তী অংশে আমরা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। সাথে এতে আমরা এও জানার চেষ্টা করবো যে কেন বিভিন্ন দেশের সরকার মুদ্রাস্ফীতির একটি টার্গেট ঠিক করে রাখে। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব এবং এর সাথে পুঁজিবাজারের সম্পর্ক নিয়েই আমরা আমাদের এই অংশটি সাজিয়েছি।
কিভাবে মূল্যস্ফীতির পরিমাপ করতে হবে?
মূল্যস্ফীতি পরিমাপের ক্ষেত্রে সাধারণত ২ টি পদ্ধতি ব্যবহৃত হতে পারে যেগুলো হলো মূল্য সূচক নাম্বারস (প্রাইস ইনডেক্স নাম্বারস) এবং মোট জাতীয় পণ্য (গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট) ডিফ্লেটর।
১. মূল্য সূচক নাম্বারস (প্রাইস ইনডেক্স নাম্বারস)
মূল্যস্ফীতি পরিমাপের জন্য পূর্ববর্তী মূল্যস্তরের সাথে বর্তমান মূল্যস্তরের তুলনা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার মূল্য সূচক ব্যবহৃত হয়। ২টি অত্যন্ত জনপ্রিয় মূল্যসূচক হলো ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) এবং পাইকারি মূল্য সূচক (ডাব্লিউপিআই)। কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন অনুসরণ করতেই এই সূচকগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই সূচকগুলো গঠিত হয়।
ভোক্তা মূল্য সূচক:
পূর্বনির্ধারিত কিছু ভোক্তা পণ্য এবং সেবা যেমন খাদ্য, স্বাস্থসেবা, পরিবহন সেবা, ইত্যাদির মূল্যের ভারিত গড়কে (ওয়েটেড এভারেজ) ভোক্তা মূল্য সূচক বলা হয়। এই সূচকের মাধ্যমে ওই পূর্বনির্ধারিত ভোক্তা পণ্য এবং সেবার মূল্য পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়।
পাইকারি মূল্য সূচক:
পণ্যদ্রব্য এবং সেবা খুচরাবাজারে আসার পূর্বে পাইকারি বাজারে এসে থাকে। পাইকারি বাজারে পণ্য বা সেবার একটি নির্দিষ্ট মূল্যস্তর থাকে। সময়ের সাথে সাথে এই মূল্যস্তরের পরিবর্তন পরিমাপ করতে পাইকারি মূল্য সূচক ব্যবহৃত হয়।
এই সূচকগুলো ব্যবহার করে নিন্মোক্ত উপায়ে মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করা যায়।
ভোক্তা মূল্য সূচক ব্যবহারের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি পরিমাপ –
মূল্যস্ফীতি = [(বর্তমান ভোক্তা মূল্য সূচক – পূর্ববর্তী ভোক্তা মূল্য সূচক) / (পূর্ববর্তী ভোক্তা মূল্য সূচক)]* ১০০
পাইকারি মূল্য সূচক ব্যবহারের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি পরিমাপ –
মূল্যস্ফীতি = [(বর্তমান পাইকারি মূল্য সূচক- পূর্ববর্তী পাইকারি মূল্য সূচক) / (পূর্ববর্তী পাইকারি মূল্য সূচক)]* ১০০

২. মোট জাতীয় পণ্য (গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট) ডিফ্লেটর
গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট:
কোনো নির্দিষ্ট একটি সময়কালের মধ্যে একটি দেশের অধিবাসীগণ কর্তৃক দেশে এবং বিদেশে উৎপাদিত সকল চূড়ান্ত পণ্য এবং সেবার মোট প্রাক্কলিত (estimated) মূল্যকে গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট বলে।
গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর হলো এমন একটি অনুপাত যা কোনো একটি বছরের নমিনাল গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্টের বিপরীতে রিয়াল গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট এর অনুপাত প্রকাশ করে।
গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর = নমিনাল গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট / রিয়াল গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট
(নমিনাল এবং রিয়াল এর মধ্যেকার পার্থক্য বুঝতে “মূল্যস্ফীতিঃ কি, কেন এবং এর প্রকারভেদ“ আমাদের এই আর্টিকেলটিতে ঘুরে আসুন)
যেহেতু গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর মূল্যস্তরের পরিবর্তন নির্দেশক হিসেবে কাজ করে সেহেতু এটিকে মূল্যস্ফীতি পরিমাপে ব্যবহার করা যেতে পারে। ধারাবাহিক দুটি বছরের গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটরের শতকরা হার পরিবর্তনকে মূল্যস্ফীতির হার হিসেবে অভিহিত করা হয়।

গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর ব্যবহারের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি পরিমাপ –
মূল্যস্ফীতি = [(বর্তমান বছরের গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর – পূর্ববর্তী বছরের গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর) / পূর্ববর্তী বছরের গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট ডিফ্লেটর] * ১০০
কেবল পণ্যের মূল্য বাড়লেই কি তাকে মূল্যস্ফীতি বলা হবে?
কেবল পণ্যের মূল্য বাড়লেই তাকে মূল্যস্ফীতি বলা যাবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে একটি দেশের সামগ্রিক মূল্যস্তরের বৃদ্ধিই হলো মূল্যস্ফীতি। হরহামেশাই দেশের বিশেষ কিছু পণ্যের দামে ওঠানামা হয়। কিন্তু এর জন্য দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে না। মূল্যস্ফীতি একটি দেশের গোটা অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়। এটি বুঝতে আমাদের মূল্যস্ফীতির পরিমাপের সূচক সম্পর্কে জানতে হবে। ‘মূল্যস্ফীতি সূচক’ ব্যবহার করে একটি দেশের মূল্যস্ফীতির হার পরিমাপ করা হয়।
মূল্যস্ফীতি কি কাম্য নাকি কাম্য নয়?
আসলে আমরা মূল্যস্ফীতির কথা বললে, একটা বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কথা ভাবি। বাস্তবে কিন্তু তেমন না। আমরা মূল্যস্ফীতির যে ভয়ানক পরিস্থিতির কথা ভাবি তাকে অর্থনীতির ভাষায় বলে হাইপার ইনফ্লেশন বা অত্যধিক মূল্যস্ফীতি। হাইপার ইনফ্লেশন হলে, দেশের সামগ্রিক মুল্যস্তর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়, তখন একে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। মাসে ৫০ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে এই পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। তবে আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ একটি নিয়ন্ত্রিত ও স্থিতিশীল মূল্যস্ফীতির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব স্বীকার করেন। একটি নির্দিষ্ট হারে দাম বাড়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহ পায়, নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হয় এবং মানুষের ইনকামও বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞগণ ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেন।
অত্যধিক মূল্যস্ফীতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়?
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একসাথে কাজ করতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘মনিটারি পলিসি’ ও সরকারের ‘ফিস্কাল পলিসি’, এ দুয়ের সমন্বয়ে একটি দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। এছাড়াও একটি দেশের সব ধরনের পরিকল্পনা মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়েই গৃহীত হয়। এছাড়াও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতার উপর একটি দলের ক্ষমতায় থাকা না থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশেষ নজর থাকে।
মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব
অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম ফিলিপস ই প্রথম ব্যক্তি যিনি গবেষণার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের মধ্যকার সম্পর্ক দেখান। তিনি তার ফিলিপস রেখার মাধ্যমে দেখান যে, মূল্যস্ফীতি বাড়লে বেকারত্ব কমে। সরকার যখন বেকারত্ব কমাতে চায় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সম্প্রসারণশীল মুদ্রানীতি (এক্সপানশনারি মনিটারি পলিসি) গ্রহণ করে। এতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে দেয় এবং মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের মাদ্ধমে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পারে। এরূপ পরিস্থিতে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবংঅধিক মুদ্রা সরবরাহের দরুন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। অতঃপর মূল্যস্ফীতির সাথে বেকারত্বের একটি নেগেটিভ সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়।

যদিও এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত মতামত, এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সীমাবদ্ধতা আছে। স্বল্পমাত্রার মূল্যস্ফীতির জন্য এই মতবাদটি সত্য এটি নানাভাবে প্রমাণিত হলেও অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘ সময় ধরে চলমান অত্যধিক মূল্যস্ফীতিসহ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়।
সামগ্রিক অর্থনীতিতে মূদ্রাস্ফীতির প্রভাব
মূল্যস্ফীতির ফলে প্রাথমিকভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। মূল্যস্ফীতি নির্দিষ্ট আয়ের পেশাজীবীদের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। তাদের আয়বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা না গেলে, তাদের জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে আসে। এছাড়াও, জনগণের সঞ্চিত অর্থের মূল্য কমে যাওয়ায়, তারাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে পাওনাদাররা। কারণ মূল্যস্ফীতির পূর্বে যে অর্থ তারা ধার দিয়েছিলো, মূল্যস্ফীতির পরে সেই অর্থের মূল্য কমে যায়।
অত্যধিক মূল্যস্ফীতির ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায় এবং অস্থিতিশীলতা তৈরী হয়। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার ফলে মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা সৃষ্টি হয়, এতে সামাজিক বিশৃঙ্খলাও বাড়ে।
তবে নিয়ন্ত্রিত ও স্থিতিশীল মূল্যস্ফীতির ফলে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহ খুঁজে পায়। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়ে, উৎপাদন বাড়ে, একইসাথে মানুষের আয়ও বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি
বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো উন্নত রাষ্ট্রসমূহের সাম্প্রতিক সময়ের মূল্যস্ফীতি ১.৫% হতে ৩% এর মধ্যে থেকে থাকে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৫.৫%। ২০০০ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির পরিমান ছিল প্রায় ২% যা ২০১১ সালে ১১% এরও অধিক হয়ে যায়। এতে করে বাংলাদেশে দ্রুতগতির মূল্যস্ফীতি (গ্যালপিং) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের দ্রুতগতির মূল্যস্ফীতির পেছনে যে কারণগুলো কাজ করেছে সেগুলো হলো খাদ্যদ্রব্য, পেট্রোলিয়ামদ্রব্য এবং বিদ্যুতের মূল্যের প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি, অর্থ সরবরাহের নিয়মিত বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, মজুরি খরচ বৃদ্ধি এবং মুদ্রার বিনিময় হারের অবচয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে শক্তিশালী মূল্যস্ফীতি (ওয়াকিং) বিদ্যমান। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৫% এর অধিক যা বাংলাদেশ ব্যাংক ৫% এর নিচে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে মূল্যস্ফীতির প্রভাব
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। মূল্যস্ফীতি এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে মূল্যস্ফীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের মতো শক্তিশালী মূল্যস্ফীতির একটি দেশের বিনিয়োগকারীগণের জন্য পুঁজিবাজার একটি উপযুক্ত স্থান। কারণ পুঁজিবাজারের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় মূল্যস্ফীতির হারের সাথে কিছুটা সমঞ্জস্যপূর্ণ। যেহেতু একটি কোম্পানির আয় এবং মুনাফা মূল্যস্ফীতির সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়, সেহেতু সে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারগণের আয়ও মূল্যস্ফীতির হারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ আমানত সংগ্রহকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৬% এর কম সুদ বা মুনাফা দিয়ে যাচ্ছে। এটি ৫.৫% মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য করার পর আমানতকারীগণের জন্য ১% এরও কম প্রকৃত মুনাফার সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে বিগত ৭ মাসে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ৪০% এরও বেশি মুনাফা বিনিয়োগকারীগণকে প্রদান করেছে। তথা মূল্যস্ফীতি এবং মুনাফার হারের কথা বিবেচনা করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগই সর্বাপেক্ষা উত্তম সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
উপসংহার
মূল্যস্ফীতি পরিমাপের যে দুইটি পদ্ধতি আমরা এখানে আলোচনা করেছি তৎমধ্যে প্রাইস ইনডেক্স নাম্বারস পদ্ধতিটিই পৃথিবীব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত। ভোক্তা মূল্যসূচক বা কনসিউমার প্রাইস ইনডেক্স পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই মূল্যস্ফীতি পূর্বনির্ধারিত টার্গেটের মধ্যে রাখার চেষ্টা করে থাকে। মূল্যস্ফীতিকে একটি সীমার মধ্যে রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চেষ্টা করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার। একটি নির্দিষ্ট পরিমান মুদ্রাস্ফীতি দেশে বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক। কিন্তু অত্যধিক মূল্যস্ফীতি দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এতে দেশের মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায়, বেকারত্ব বাড়ে এবং দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে চলে যায়. তথাপি দেশের অর্থনীতিকে ঠিক রাখতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অত্যাবশ্যক।
nagorik.news
October 11, 2022চমৎকার লেখা
admin
March 2, 2023ধন্যবাদ স্যার