ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস
ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস কী?
ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতার মাত্রা, চাহিদা-সরবরাহের পরিসংখ্যান, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, ঝুঁকিপ্রবণতা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়। ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিসের ক্ষেত্রে একটি ইন্ডাস্ট্রিকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সকল অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কারণগুলোকেই বিবেচনা করা হয়।
কীভাবে ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস করতে হয়?
ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিসের জন্য এনালিস্টগণ সাধারণত তিনটি জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। সেগুলো হলো:
- কম্পিটিটিভ ফোর্সেস মডেল (Porter’s 5 Forces)
- ব্রড ফ্যাক্টর এনালাইসিস (PESTLE Analysis)
- SWOT এনালাইসিস
এই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
কম্পিটিটিভ ফোর্সেস মডেল (Porter’s 5 Forces)
ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিসের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত মডেলগুলোর মধ্যে একটি হলো “Porter’s 5 Forces” মডেল। মাইকেল পোর্টার তার ১৯৮০ সালে প্রকাশিত “Competitive Strategy: Techniques for Analyzing Industries and Competitors” নামক একটি বইয়ে এই মডেলটির প্রবর্তন করেছিলেন। এই মডেলটি একটি ইন্ডাস্ট্রির আকর্ষণীয়তা এবং লাভজনকতা বিশ্লেষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পোর্টারের মতে, এই পাঁচটি বৈশিষ্টের বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ইন্ডাস্ট্রি বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়।
- ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার তীব্রতা (Intensity of industry rivalry)
একটি নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং তাদের মার্কেট শেয়ার উক্ত ইন্ডাস্ট্রির প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তোলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
– প্রতিযোগীদের সংখ্যা
– পণ্য বা পরিষেবার মানের মধ্যে পার্থক্য
– স্থায়ী খরচ বৃদ্ধি
– ক্রেতার বিশ্বস্ততা ইত্যাদি
- সম্ভাব্য নতুন প্রতিযোগীদের প্রবেশের হুমকি (Threat of potential new entrants)
কোন ইন্ডাস্ট্রিতে একটি নতুন কোম্পানির প্রবেশ সেই ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার পরিবেশকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। যদি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করা সহজ হয় তবে সেটি ব্যবসার পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। আর যদি প্রবেশ করা কঠিন হয় তাহলে সেই ইন্ডাস্ট্রির অধীনে থাকা কোম্পানিগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য সুবিধা ভোগ করতে পারে। সম্ভাব্য নতুন প্রতিযোগীদের প্রবেশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে একটি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
– প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও খরচ
– বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের প্রয়োজন
– ইকোনোমিজ অফ স্কেল (Economies of Scale)
– খরচ কমানোর ক্ষমতা
– প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ইত্যাদি
- সরবরাহকারীদের দর কষাকষির ক্ষমতা (Bargaining power of suppliers)
যদি একটি ইন্ডাস্ট্রির অধীনে থাকা কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সরবরাহকারীদের সরবরাহের উপর নির্ভর করে তবে সেই কোম্পানিগুলোর ব্যবসার কার্যকারিতার উপর তাদের একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকে। এটি চূড়ান্ত পণ্যের গুণমান এবং দামকে সরাসরি প্রভাবিত করে। বাজারে সরবরাহকারী যত বেশি থাকবে তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা কম হবে এবং বাজারে সরবরাহকারী যত কম থাকবে তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা তত বেশি হবে। সরবরাহকারীদের দর কষাকষির ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
– সরবরাহকারীদের সংখ্যা এবং আকার
– বিকল্প সরবরাহকারীর কাছে যাওয়ার করার ক্ষমতা
– পণ্য বা পরিষেবার অনন্যতা ইত্যাদি
- ক্রেতাদের দর কষাকষির ক্ষমতা (Bargaining power of Buyers)
যদি ক্রেতা বা গ্রাহকদের কাছে বাজারের ক্ষমতা থাকে তাহলে তারা কম দাম, ভালো মান, অতিরিক্ত পরিষেবা এবং ডিসকাউন্ট নিয়ে দাবি তুলতে পারেন। এখানে ক্রেতা বা গ্রাহকদের কোম্পানিগুলোর ব্যবসার উপর প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা থাকে। বাজারে যদি প্রচুর সরবরাহকারী থাকে এবং সেই তুলনায় খুব কম গ্রাহক থাকে তাহলে দর কষাকষির ক্ষমতা ক্রেতা বা গ্রাহকদের হাতে চলে যায়। ক্রেতাদের দর কষাকষির ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
– গ্রাহকের সংখ্যা
– মূল্য সংবেদনশীলতা
– অন্য কোম্পানির পণ্যে বা পরিষেবায় স্যুইচ করার ক্ষমতা ইত্যাদি
- বিকল্প পণ্য বা পরিষেবার হুমকি (Threat of substitute goods or services)
একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রতিযোগিতামূলক কাঠামো তখন হুমকির সম্মুখীন হয় যখন সেখানে বিকল্প পণ্য থাকে যা থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অনুরূপ সুবিধা পাওয়া যায়। বিকল্প পণ্য হল এমন পণ্য যা অন্যটির জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে। একটির দাম বাড়লে অন্যটির চাহিদা বেড়ে যায়। ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরণের ঝুঁকি থাকলে কোম্পানিগুলো তাদের ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের মূল্য নির্ধারণের দিকে অধিক গুরুত্ব দেয়। অন্যথায় কোম্পানিগুলো তাদের খরচ নিয়ন্ত্রণে অনেকটা শিথিল থাকে যার ফলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অধিক মূল্য নেওয়া হয়। বিকল্প পণ্য বা পরিষেবার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে একটি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ কোম্পানিগুলোর কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
– বিকল্প পণ্যে বা পরিষেবায় স্যুইচ করার ক্ষমতা
– মূল্য সংবেদনশীলতা
– পণ্য বা পরিষেবার অনন্যতা ইত্যাদি
ব্রড ফ্যাক্টর এনালাইসিস (PESTLE Analysis)
PESTLE এনালাইসিস একটি ইন্ডাস্ট্রির বাহ্যিক পরিবেশ সম্পর্কে বিশ্লেষণের জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি। PESTLE বিশ্লেষণে মোট ছয়টি উপাদান রয়েছে যেগুলো হলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রযুক্তিগত, আইনি এবং পরিবেশগত।
- রাজনৈতিক (Political): যে সকল রাজনৈতিক কারণগুলো একটি ইন্ডাস্ট্রিকে প্রভাবিত করে তা হল কর নীতি, সরকারী বিধিমালা, ট্যারিফ, বাণিজ্যিক নীতিমালা, শ্রম আইন, ব্যবসা করার সহজতা এবং সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
- অর্থনৈতিক (Economic): যে সকল অর্থনৈতিক কারণগুলো একটি ইন্ডাস্ট্রিকে প্রভাবিত করে তা হল জিডিপি বৃদ্ধির হার, মুদ্রাস্ফীতি, বিনিময় হার, সুদের হার, আমদানি ও রপ্তানি, বেকারত্ব, পুঁজিবাজারের অবস্থা ইত্যাদি।
- সামাজিক (Social): একটি ইন্ডাস্ট্রির উপর সামাজিক প্রভাবের মধ্যে রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, সংস্কৃতি, মনোভাব এবং আচরণের প্রবণতা যেমন স্বাস্থ্য, ফ্যাশন এবং সামাজিক আন্দোলন।
- প্রযুক্তিগত (Technological): প্রযুক্তিগত কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে গবেষণা এবং উন্নয়ন, সর্বশেষ উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা, ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রবণতা।
- আইনি (Legal): আইনি কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রম আইন, প্রবিধান, ন্যূনতম মজুরি, কর্মসংস্থান চুক্তি এবং অন্যান্য।
- পরিবেশগত (Environmental): পরিবেশগত কারণের মধ্যে রয়েছে পরিবেশগত সমস্যা যেমন বন উজাড়, দূষণ, কার্বন নিঃসরণ, মাটির অবক্ষয় এবং অন্যান্য।
SWOT এনালাইসিস
SWOT এনালাইসিস হলো একটি কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিযোগীদের শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ এবং হুমকি চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া। এটিকে দুটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে:
- অভ্যন্তরীণ (Internal)
শক্তি (Strength) এবং দুর্বলতা (Weakness) হলো অভ্যন্তরীণ উপাদান যা একটি ব্যবসা বা ইন্ডাস্ট্রিকে যথাক্রমে অন্যদের থেকে এগিয়ে দেয় বা অসুবিধার মধ্যে রাখে। অভ্যন্তরীণ কারণগুলো একটি ইন্ডাস্ট্রি বা ব্যবসার অভ্যন্তরে বিদ্যমান যা বর্তমান অবস্থানের পেছনে অবদান রাখে এবং ভবিষ্যতেও বিদ্যমান থাকতে পারে।
- শক্তি (Strength)
একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের শক্তির দিকগুলো হলো সেই সকল উপাদান যা এটিকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য প্রতিযোগিদের চেয়ে এগিয়ে রাখে। একটি কোম্পানির শক্তির উপাদানগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ড ভ্যালু, ব্যবসায়ের সুনাম, বিপণন দক্ষতা, কোম্পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তির ব্যবহার, আর্থিক ভারসাম্য, বিশাল গ্রাহকের সংখ্যা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- দুর্বলতা (Weakness)
দুর্বলতা একটি কোম্পানির সেই সকল উপাদান যা এটিকে অসুবিধার মধ্যে রাখে এবং যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে। এই উপাদানগুলোর কারণে তারা তুলনামূলকভাবে তাদের প্রতিযোগীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, একটি কোম্পানির যথেষ্ট ব্র্যান্ড ভ্যালু না থাকা, খ্যাতি এবং বাজারে উপস্থিতির অভাব, সম্পদ ও মূলধনের অভাব, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া, অকার্যকর বিপণন কৌশল, অদক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
- বাহ্যিক (External) :
সুযোগ (Opportunity) এবং হুমকি (Threat) হলো বাহ্যিক উপাদান যা একটি ব্যবসা বা ইন্ডাস্ট্রিকে যথাক্রমে ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাদের ঘটার সম্ভাবনা এবং কোম্পানির উপর তাদের সম্ভাব্য প্রভাবের উপর ভিত্তি করে তাদের গুরুত্ব মূল্যায়ন করা উচিত। সুযোগের সদ্ব্যবহার করার বা হুমকি এড়াতে কোম্পানিগুলোর ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য এবং ক্ষমতা আছে কিনা তাও বিবেচনা করা জরুরি।
- সুযোগ (Opportunity)
সুযোগ হলো সেই সকল উপাদান যার মাধ্যমে একটি কোম্পানি বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেতে পারে। এটি সেই সকল দিককে নির্দেশ করে যেখানে তারা তাদের ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসায়ের মার্কেট সেগমেন্ট এবং ক্ষেত্রগুলোকে প্রসারিত করা, নতুন প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নেওয়া ইত্যাদি।
- হুমকি (Threat)
হুমকি হল সেই সকল উপাদান যা একটি কোম্পানির ব্যবসার সম্ভাব্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিটি কোম্পানিকে তাদের কোম্পানির সম্ভাব্য হুমকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, দেশীয় এবং আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার আকস্মিক বৃদ্ধি, শ্রমের ব্যয় বৃদ্ধি, কোম্পানির প্রবৃদ্ধি হ্রাস, অর্থনৈতিক সূচকের আকস্মিক পরিবর্তন, ব্র্যান্ডের খ্যাতি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
বিনিয়োগকারীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস কেন প্রয়োজন?
একটি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ কোনো কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ করার আগে স্টকের এনালাইসিসের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস করা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির কোন উপাদানগুলো আপনার নির্বাচিত স্টককে প্রভাবিত করতে পারে তার সামষ্টিক কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস একজন বিনিয়োগকারীর জন্য নানা কারণেই গরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে:
- একটি ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে কাজ করে তা জানা যায়
- সেরা বিনিয়োগের সুযোগ চিহ্নিত করা যায়
- সামগ্রিক ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি স্টকের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলো মূল্যায়ন করা যায়
দক্ষ এবং অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় নির্দিষ্ট বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস করে থাকেন যাতে তারা যে সেক্টর বা ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করতে চান সে সম্পর্কে সামগ্রিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। একটি কোম্পানি সম্পর্কে জানার জন্য তার ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানা খুব জরুরি। তাই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস করা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি অর্থনীতির একটি সেক্টর এবং ইন্ডাস্ট্রির অর্থনৈতিক এবং আর্থিক সম্ভাবনাগুলোকে মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে। বিনিয়োগকারীরা ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিসের মাধ্যমে সেই ক্ষেত্রটিকে চিহ্নিত করতে পারবে যেখানে কিছু কৌশলগত পরিবর্তন বিনিয়োগের লাভজনকতাকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
- No Comments
- June 13, 2022