কীভাবে নিজে নিজে স্টক এনালাইসিস করা যায় – How to analyze your own stock
সকল মানুষ ডাক্তারের মত নিজের চিকিৎসা নিজে করতে পারেন না আবার নিজের আইনজীবী নিজে হতে পারেন না। কিছু মানুষ নিজের ইচ্ছায় শখ করে রান্না করেন কারণ তারা রান্না করতে পছন্দ করেন। একইভাবে ওয়ারেন বাফেট এর মত কিছু মানুষ আছেন যারা নিজের সম্পদ ও বিনিয়োগের ব্যবস্থাপনা নিজেই করেন কারণ তারা এ কাজটি করে আনন্দ পান।
তাই আপনি যদি একজন স্বাবলম্বী বিনিয়োগকারী হতে চান তবে আপনার নিজস্ব স্টক এনালিস্ট হওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। একজন বিশ্লেষকের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর না করে নিজেই নিজের বিশ্লেষক হয়ে বিনিয়োগের ব্যবস্থাপনা করা সবদিক থেকেই একটি উত্তম সিদ্ধান্ত।
কীভাবে নিজেই নিজের স্টক এনালিস্ট হয়ে ওঠা যায় নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
স্টক এনালাইসিস একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া
একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনি ভ্যালু বা মুনাফা যেটাতেই আগ্রহী হন না কেন, একজন বিশ্লেষক হওয়ার সর্বপ্রথম ধাপ হল একটি অনুসন্ধানী মানসিকতা গড়ে তোলা। আপনাকে সবার আগে কোন মূল্যে কোন শেয়ারটি ক্রয় বা বিক্রয় করতে হবে তা খুঁজে বের করতে হবে। একজন বিশ্লেষক সাধারণত একটি নির্দিষ্ট শিল্পখাত বা সেক্টরকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। একটি নির্দিষ্ট শিল্পখাতের মধ্য থেকে কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রতি তারা বেশি আগ্রহী থাকেন। একজন বিশ্লেষকের লক্ষ্য থাকে তার নিজস্ব তালিকার অন্তর্ভুক্ত এই নির্দিষ্ট কোম্পানিগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা। তারা কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এটি করে থাকেন। যথাযথ পর্যালোচনার জন্য বিশ্লেষকরা কোম্পানির সাথে সংশ্লিষ্ট সাপ্লাইয়ার, কাস্টমার, এবং প্রতিযোগী কোম্পানির সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়েও তদন্ত করে থাকেন। এছাড়াও কিছু বিশ্লেষক কোম্পানিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এভাবেই এক পর্যায় একজন পেশাদার বিশ্লেষক কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার সার্বিক চিত্র পাওয়ার জন্য সকল বিষয়ে পর্যালোচনা করেন।
অতএব, যেকোনো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে আপনাকে যথাযথ গবেষণা ও অনুসন্ধান করতে হবে। একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য একই শিল্পখাতের অধীনে একাধিক স্টকের আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করা উচিত। এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা খুব কঠিন কাজ নয়।
নিজেই নিজের স্টক এনালিস্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বর প্রতিবন্ধকতা হল সময়। যেসকল বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও ব্যস্ত থাকেন তাদের পক্ষে পেশাদার বিশ্লেষকদের মত একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যয় করা খুবই কষ্টকর। তাই একজন নতুন বিশ্লেষক হিসেবে আপনি একাধিক স্টক এর বদলে এক বা দুইটি স্টক বিশ্লেষণ করতে পারেন। এতে করে আপনি বিশ্লেষক হিসেবে আপনার নিজস্ব দক্ষতাও যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও এতে করে আপনি সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি ভালভাবে বুঝতে ও ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আপনি একত্রে একাধিক স্টক বিশ্লেষণ করার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
এভেইলেবল রিসোর্স থেকেই শুরু করুন
বিশ্লেষকদের প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে আপনি নিজস্ব বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনাকে প্রাথমিক কাজগুলি পুনরায় করতে হবে না এবং আপনি বেশকিছু সময় সাশ্রয় করতে পারবেন। বিশ্লেষকদের প্রকাশিত রিপোর্টগুলোর উপর যে নিশ্চিন্তভাবে নির্ভর করতে হবে এমন নয়। আপনি তাদের প্রকাশিত রিপোর্টগুলো পড়ে আপনার পছন্দের কোম্পানির সম্পর্কে, কোম্পানির ক্ষমতা, দুর্বলতা, প্রতিযোগী কোম্পানির সাথে সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা পেতে পারেন। অভিজ্ঞ বিশ্লেষকদের তৈরি প্রতিবেদন বা রিপোর্টগুলোতে প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য থাকে। তাই বিভিন্ন বিশ্লেষকের প্রস্ততকৃত রিপোর্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। একাধিক বিশ্লেষণকারীর মধ্যে মতের মিল নাও থাকতে পারে তবে রিপোর্টে বিদ্যমান তথ্যে সাধারণত ভিন্নতা দেখা যায় না। এছাড়াও, এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিশ্লেষকদের আয়ের পূর্বাভাস ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন যা বিশ্লেষকদের প্রস্তাবিত পরামর্শকে নির্দেশ করে। বিভিন্ন বিশ্লেষক একই শেয়ার বিভিন্ন মূল্যে ক্রয় বা বিক্রয়ের পরামর্শ দিতে পারেন। তাই রিপোর্টগুলো পড়ার সময়ে এর কারণগুলোর প্রতি সতর্ক থাকতে হবে এবং তা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এরপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আপনার মতামত কি হত তা নির্ধারণ করুন। যদি এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে না পারেন তবে পরবর্তী পদেক্ষেপ অনুসরণ করুন।
কী বিশ্লেষণ করতে হবে?
নিজের চেষ্টায় কোন একটি স্টক সম্পর্কে একটি নির্ভরযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আপনাকে স্টক বিশ্লেষণের সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কিছু বিশ্লেষক টপ-ডাউন পদ্ধতি অনুসরণ করে যাতে একটি শিল্পখাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি দ্বারা বিশ্লেষণ শুরু করা হয়। আবার কিছু বিশ্লেষক বোটম-আপ পদ্ধতি অনুসরণ করেন যাতে যেকোনো একটি কোম্পানি থেকে শুরু করে তার সাথে সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতকে বিশ্লেষণ করা হয়। আপনি এক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রক্রিয়াটি বেশি জটিল না হয়ে যায়। যেকোনো বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবেঃ
শিল্পখাত বিশ্লেষণ
যেকোনো শিল্পখাত বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি খুব সহজেই বিভিন্ন উৎস হতে সংগ্রহ করা যায়। অধিকাংশ সময়ই একটি কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে একটি নির্ভরযোগ্য ধারণা দিয়ে থাকে। এই বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটির এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতের মুখ্য ও গৌণ উভয়ে প্রতিযোগীদের সম্পর্কে ধারণা দেয়। একাধিক কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি শিল্পখাতটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন। শিল্পখাতগুলোর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য আপনি শিল্পখাতটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে এমন ট্রেড ম্যাগাজিন বা ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।
ব্যবসায়ের মডেল বিশ্লেষণ
আপনার নির্বাচিত কোম্পানিটির ক্ষমতা ও দুর্বলতাগুলোর প্রতি ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি সম্ভাবনাময় শিল্পখাতের মধ্যে একটি দুর্বল কোম্পানি থাকতে পারে আবার একটি দুর্বল শিল্পখাতের অন্তর্ভুক্ত একটি সম্ভাবনাময় কোম্পানি থাকতে পারে। একটি কোম্পানির প্রবৃদ্ধি ও সম্ভাবনা কোম্পানিটির নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচয়, পণ্য, গ্রাহক ও সাপ্লাইয়ার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে খুব সহজেই জানা যায়। একটি কোম্পানির ব্যবসায়ের মডেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য কোম্পানিটির বার্ষিক প্রতিবেদন, ট্রেড ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো সময় সংগ্রহ করা যায়।
আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ
একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা যাচাই করা একজন স্টক বিশ্লেষকের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আপনি একজন স্টক বিশ্লেষকের মত চিন্তা করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণী, আয় বিবরণী, নগদ প্রবাহ বিবরণী যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রায়শই কোম্পানিটিকে বিনিয়োগকারীদের নিকট আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য কোম্পানির আর্থিক বিবরণীর তুলনায় কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে কিছুটা বাড়িয়ে লেখা হয় । স্টক বিশ্লেষণের সময় যদি আপনি কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণী দ্বারা সন্তুষ্ট না হন তবে উক্ত স্টকটির পিছনে সময় নষ্ট না করাই উত্তম।
ব্যবস্থাপনার মান
একজন স্টক বিশ্লেষকের জন্য কোম্পানির ব্যবস্থাপনার মান আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবস্থাপনায় একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, “একটি ভালো কোম্পানি বা খারাপ কোম্পানি বলতে কিছু নেই, রয়েছে কেবল ভালো বা খারাপ ব্যবস্থাপক”। সাধারণত প্রধান ব্যবস্থাপকরাই কোম্পানির ভবিষ্যতের জন্য দায়ী থাকেন। আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই একটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও বোর্ড মেম্বারদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতি কোম্পানি সম্পরকেই ইন্টারনেটে বিভিন্ন রকম তথ্য রয়েছে।
প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ
শেয়ারের মূল্য কোম্পানির আয়ের উপর নির্ভর করে। তাই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাবে কিনা তা আগে থেকেই অনুমান করার জন্য কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ আয়ের পরিমাণ কেমন হতে পারে তা জানতে হবে। তবে অল্প সময়ে দ্রুততার সাথে ভবিষ্যৎ আয় সঠিকভাবে অনুমান করার জন্য কোন সহজ পদ্ধতি নেই। প্রতিটি বিশ্লেষক একটি নির্দিষ্ট শিল্পখাতের পূর্বের বিক্রয় ও মুনাফার হার, লাভজনকতার সম্ভাবনা ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আয় অনুমান করে থাকেন। এই প্রক্রিয়াটি মূলত পূর্বে কি ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে কি হতে পারে তার মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি করে। যথাযথভাবে ভবিষ্যৎ আয় অনুমান করা একজন বিশ্লেষকের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এটি আপনি সংশ্লিষ্ট শিল্পখাত ও কোম্পানিটি ও তার কার্যক্রম কতটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন তা নির্দেশ করে।
মূল্যায়ন
ভবিষ্যৎ আয় অনুমান করার পর আপনাকে কোম্পানিটির প্রকৃত মূল্যায়ন করতে হবে। আপনাকে আপনার কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কত হওয়া উচিত তা যাচাই করতে হবে। একজন বিশ্লেষককে বাজার মূল্যের সাথে একটি কোম্পানির শেয়ারের প্রস্তাবিত মূল্য কতটা ন্যায়সংগত তা মূল্যায়ন করতে হয়। এই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন সঠিক মান বা নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই। একেক জন বিশ্লেষক একেকভাবে মূল্যায়ন করে থাকেন। যেসকল বিনিয়োগকারী শেয়ার মূল্যের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করেন তারা শেয়ারের মূল্যায়নকে বিবেচনা করেন আবার যারা শেয়ারের প্রবৃদ্ধিয়ের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করতে চান তারা শেয়ারের সম্ভাব্য আয় বিবেচনা করে থাকেন। যেসকল কোম্পানি উচ্চ মুল্য-আয় অনুপাতে শেয়ার বিক্রয় করে তাদের শেয়ারের বর্তমান মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য শীঘ্রই তাদের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে হবে।
মূল্য–সীমা
সবশেষে একজন শেয়ার বিশ্লেষককে শেয়ারের মূল্য-সীমা যাচাই করতে হবে। আপনি কোম্পানির ভবিষ্যৎ আয় অনুমানের উপায়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারলে খুব সহজেই উচ্চ এবং নিম্ন মূল্য আয় অনুপাতের সাথে শেয়ার প্রতি আয় গুণ করে উচ্চ এবং নিম্ন মূল্য-সীমা নির্ণয় করতে পারবেন। উচ্চ এবং নিম্ন মূল্য-সীমা হল এমন একটি সীমা যার মধ্যে শেয়ারের মূল্য ভবিষ্যৎ আয়ের প্রভাবে ওঠা-নামা করে। আপনার মূল্য- সীমা নির্ণয় করা হয়ে গেলে আপনি এটি নিজের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতিটি বিনিয়োগকারীরই মূল লক্ষ্য হল মুনাফা লাভ করা। তবে সকল বিনিয়োগকারী বা বিশ্লেষকই এক্ষেত্রে নিয়মিত সফল নাও হতে পারেন। তাই স্টক বিশ্লেষকদের উপর নিশ্চিন্তভাবে নির্ভর না করে প্রতিটি বিনিয়োগকারীর উচিত নিজে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করা। প্রত্যেকেই যে একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন তা জরুরি নয়, তবে এর মাধ্যমে অবশ্যই আপনার বিশ্লেষণ দক্ষতার উন্নতি হবে।