Gross Domestic Product (GDP) – জিডিপির ইতিবৃত্ত এবং বাংলাদেশ
আমরা প্রায় সকলেই জিডিপি (GDP) শব্দটির সাথে পরিচিত। কিন্তু কি এই জিডিপি? কিভাবে এর পরিমাপ করা হয় তা কি আমরা জানি? যদি জেনে না থাকি তবে আসুন জেনে নেয়া যাক।
জিডিপি শব্দটির ইংরেজি অর্থ হল “গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট” যা বাংলায় “মোট দেশীয় পণ্য”। জিডিপি হল কোন একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিমাপক। কোনো একটি দেশে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উৎপাদিত অথবা তৈরীকৃত মোট পণ্য এবং সেবার সমষ্টিকেই জিডিপি নামে অভিহিত করা হয়। উন্নত দেশগুলোতে ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক জিডিপির তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল এবং অন্যান্য অনুন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত বার্ষিক জিডিপির তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
জিডিপির ইতিহাস
জিডিপির ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আসে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ। তখনো জিডিপির ব্যবহার ততটা জনপ্রিয় ছিল না। ১৯৩২ সালে আমেরিকার সরকার তাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে আগ্রহী হয়। ১৯২৯ সালে শুরু হওয়া গ্রেট ডিপ্রেশন থেকে দেশটি উৎরাতে পারছে কিনা তা জানতেই আমেরিকার সরকারের এই আগ্রহ জন্মে। এরপর তৎকালীন সরকার অর্থনীতিবিদ সাইমন কুটনেস’কে এই সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিমাপের দায়িত্ব অর্পণ করে। তথাপি, তিনি ১৯৩৪ সালে আধুনিক জিডিপির ধারণা প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে অনুষ্ঠিত ব্রেটন উডস কনফারেন্সের (যা ইউনাইটেড নেশনস মনিটারি এন্ড ফাইনান্সিয়াল কনফারেন্স নামেও পরিচিত) পর থেকে জিডিপি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিমাপের মাপকাঠি হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়।
জিডিপি পরিমাপের তিনটি পদ্ধতি
জিডিপি পরিমাপে সাধারণত তিনটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলো হলো আয় পদ্ধতি, ব্যয় পদ্ধতি এবং উৎপাদন পদ্ধতি। এসকল পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি জিডিপির পরিমান নির্ধারণ করা হয়। নিচে তিনটি পরিমাপ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত ধারণা উপস্থাপন করা হল।
আয় পদ্ধতি
একটি দেশের পণ্য এবং সেবা উৎপাদনে বিভিন্ন রকম উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসকল উপাদানকে মূলত চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এগুলো হলো ভূমি, শ্রম, মূলধন এবং শিল্পোদ্যোগ। দেশের সকল পণ্য এবং সেবা তৈরীর উপকরণ এই চারটি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। তাই এসকল উপকরণ বিক্রয় অথবা ব্যবহার হতে প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টিকে নীট জাতীয় আয় হিসেবে অভিহিত করা হয়। তথাপি, ভূমি হতে প্রাপ্ত ভাড়া, শ্রম হতে প্রাপ্ত মজুরি, মূলধন হতে প্রাপ্ত লাভ বা সুদ এবং শিল্পোদ্যোগ হতে প্রাপ্ত মুনাফার সমষ্টিই হল নীট জাতীয় আয়। এই নীট জাতীয় আয়ের সাথে মূলধনের অবচয় এবং নীট বৈদেশিক উপাদান হতে আয় যোগ করার মাধ্যমে আমরা জিডিপি নির্ণয় করতে পারি। নিন্মোক্ত সমীকরণের মাধ্যমে আয় পদ্ধতিতে জিডিপির পরিমাপ করা যায়।
ব্যয় পদ্ধতি
ব্যয় পদ্ধতিতে সকল প্রকার ক্রেতা কর্তৃক ক্রয় করা সকল পণ্য ও সেবার বিপরীতে ব্যয় করা অর্থের পরিমান নির্ধারণ করা হয়ে থাকে
এ পদ্ধতিতে পূর্বের পদ্ধতির মতো আয়ের হিসাব করার পরিবর্তে জিডিপি পরিমাপে ব্যয়ের হিসাব করা হয়। এক্ষেত্রে, সকল প্রকার ক্রেতা কর্তৃক ক্রয় করা ভোক্তা কর্তৃক দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত পণ্য এবং সেবার জন্য ব্যয়, বিনিয়োগ ব্যয় এবং সরকার কর্তৃক ব্যয়। এই ব্যায়সমূহের সাথে নীট রপ্তানি যোগ করে আমরা জিডিপি নির্ণয় করতে পারি। ব্যয় পদ্ধতিতে জিডিপি নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিচের সমীকরণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উৎপাদন পদ্ধতি
একটি দেশে উৎপাদিত সকল পণ্য এবং সেবার মোট বাজার মূল্যকে একত্রিত করার মাধ্যমে উৎপাদন পদ্ধতিতে জিডিপি নির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে উৎপাদন এর বিভিন্ন ধাপে সংযোজিত মূল্যমান হতে প্রাপ্ত চুড়ান্ত পণ্যমূল্য
টিকেই জিডিপি নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়। উৎপাদন পদ্ধতিতে জিডিপি পরিমাপ করার ক্ষেত্রে উৎপাদনকে তিনটি বৃহৎ ভাগে ভাগ করে হয়ে থাকে। এগুলো হলো কৃষিকাজ হতে উৎপাদন, সেবা হতে উৎপাদন এবং শিল্প হতে উৎপাদন। উৎপাদন পদ্ধতিতে জিডিপি নির্ণয়ের সমীকরণটি নিম্নরূপ-
বাংলাদেশের জিডিপি
বাংলাদেশে “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো” কর্তৃক বাৎসরিক জিডিপির তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে যেখানে উৎপাদন পদ্ধতিতে এবং ব্যয় পদ্ধতিতে জিডিপি নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিটি অর্থ বছরের জন্য জিডিপির তথ্য প্রকাশ করে। এই সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের নমিনাল জিডিপি ছিল ২৭.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা এবং প্রকৃত জিডিপি ছিল ১১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের জিডিপি (২০১৯-২০২০)
[table id=2 /]
নমিনাল জিডিপি এবং প্রকৃত জিডিপি
নমিনাল জিডিপি হিসাব করার ক্ষেত্রে বর্তমান বাজার মূল্যে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য হিসাব করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্যে মুদ্রাস্ফীতি যুক্ত থাকে। অন্য দিকে, প্রকৃত জিডিপি হিসাব করার ক্ষেত্রে বর্তমান বাজার মূল্য হতে মুদ্রাস্ফীতি বাদ দেয়া হয়। প্রকৃত জিডিপিই একটি দেশের আসল উৎপাদনশীলতার চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম। তথাপি আমরা শুধুমাত্র প্রকৃত জিডিপির তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের পরবর্তী আলোচনাটি সাজিয়েছি। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপির যৌগিক গড় বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭২% যা সম্পূর্ণ বিশ্বের ক্ষেত্রে ছিল ৩%। পরিসখ্যানটি বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রমধর্ধমান উন্নতির চিত্র তুলে ধরে।
[table id=3 /]
উৎপাদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জিডিপি
উৎপাদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জিডিপির একটি চিত্র আমরা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যভান্ডার হতে পেতে পারি। উৎপাদন এর ভিত্তিতে জিডিপিকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা হয় যার মধ্যে রয়েছে কৃষি, সেবা এবং শিল্প। অন্যটি হলো কর এবং ভর্তুকি। ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ১২.৯%, শিল্পের অবদান ছিল ৩৪.১% এবং সেবার অবদান ছিল ৪৯.৪%। বিগত ১০ বছরে শিল্পের যৌগিক গড় বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৮৩% যা সেবা এবং কৃষির ক্ষেত্রে ছিল যথাক্রমে ৬.১১% এবং ৩.৪৬%।
ব্যয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জিডিপি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যভান্ডারে ব্যয়ের ভিত্তিতে জিডিপির তথ্য প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির ৬৮.৫৪% এসেছে প্রাইভেট সেক্টর এবং পাবলিক সেক্টর কর্তৃক ভোগকৃত পণ্যের ব্যয় হতে। ৩৪.৭৭% জিডিপি এসেছে প্রাইভেট সেক্টর এবং পাবলিক সেক্টর কর্তৃক বিনিয়োগ ব্যয় হতে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রাইভেট সেক্টরের অবদান ৮৮.৫% এবং পাবলিক সেক্টরের অবদান ১৪.৮২%। এ অর্থবছরে বাংলাদেশের নীট রপ্তানি ব্যয় ছিল – ০.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির – ৩.৩১%।
বাংলাদেশের জিডিপির ভবিষ্যতে
বাংলাদেশের জিডিপির বর্তমান বৃদ্ধির হারটি ভবিষ্যতেও যে বজায় থাকবে তা খুব সহজেই ধারণা করা যায়। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে তা হলো সরকার কর্তৃক প্রনোদিত দেশীয় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, জনসংখ্যার মিশ্রনে তরুণ জনসংখ্যার বৃদ্ধি, সরকারি উন্নয়ন প্রজেক্টসমূহ, শক্তিশালী আমদানি-রপ্তানি অবস্থান এবং সুকৌশলী কূটনৈতিক সম্পর্ক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ বর্তমানে জিডিপির ভিত্তিতে পৃথিবীর ৪২ তম বৃহৎ অর্থনীতি। সেন্টার ফর ইকোনমিক এন্ড বিজনেস রিসার্চ এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির ভিত্তিতে পৃথিবীর ২৮ তম বৃহৎ অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হবে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতির যাত্রা অব্যাহত থাকলে অতি শিঘ্রই এদেশ উন্নত দেশের তালিকায় উন্নীত হবে বলে আসা করা যায়।
নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান
[table id=4 /]
বাংলাদেশের জিডিপি এবং পুঁজিবাজার
যেকোনো দেশেরই জিডিপির সাথে এর পুঁজিবাজারের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। একটি দেশের পুঁজিবাজার সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার জানান দেয়। পুঁজিবাজার কোনো দেশের অর্থনীতির আগাম নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পুঁজিবাজারের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে জাপান এবং যুক্তরাজ্য।
নমিনাল জিডিপির তুলনায় পুঁজিবাজার মূলধনের আকার এর অনুপাত (পুঁজিবাজার মূলধন / নমিনাল জিডিপি) বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত। নমিনাল জিডিপির তুলনায় পুঁজিবাজার মূলধন যত বেশি হবে, ততই সে দেশটির অর্থনৈতিক সামর্থ্যের পরিচয় পাওয়া যাবে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পুঁজিবাজার, যুক্তরাষ্ট্রের নমিনাল জিডিপির তুলনায় পুঁজিবাজার মূলধনের অনুপাত প্রায় ১৪৮% যা জাপানের ক্ষেত্রে ১২১.৪% এবং যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ১০৭.১%। এই সূচকে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশের নমিনাল জিডিপির তুলনায় পুঁজিবাজার মূলধনের অনুপাত প্রায় ৯.২%। বাংলাদেশের অর্থনীতির সাথে তুলনাযোগ্য কিছু অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই অনুপাতটি প্রয়োগ করে আমরা বাংলাদেশের সম্যক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি ।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার মূলধন কম হওয়ার পেছনে অন্যতম কিছু কারণ হলো বন্ড মার্কেট, ফিউচার মার্কেট, ফরওয়ার্ড মার্কেট এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভ মার্কেট এর অনুপস্থিতি,দুর্বল প্রযুক্তি অবকাঠামো, অপেক্ষাকৃত কম জনসচেতনতা, ইত্যাদি। আশার বিষয় হলো ২০১৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেজ্ঞের ডিমিচুয়ালাইজেশন এর পর থেকে চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেনচেন স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর ২৫ শতাংশ মালিকানা কিনে নেয় এবং ডিএসইকে একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্লাটফর্মে রূপান্তরের ঘোষণা দেয় । তাদের সে প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে ডিএসই মোবাইল এপ্লিকেশনটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে যেখানে বিনিয়োগকারীগণ খুব সহজেই অর্ডার প্লেস করতে সক্ষম। ডিএসইর বর্তমান কমিশনের যুগোপযোগী পদক্ষেপ ও সদিচ্ছার দরুন বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট অতি দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। এরই মধ্যে ওয়াল্টন, রবি, মির আখতার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন এর মতো বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সাথে যুক্ত হয়েছে। ধীরে ধীরে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও পুঁজিবাজারের সাথে যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পুঁজিবাজার এর এসব অগ্রগতি পুঁজিবাজার মূলধন/নমিনাল জিডিপি অনুপাতের দিক থেকে বাংলাদেশেকে শক্তিশালী করবে। তাছাড়া বাংলাদেশের জিডিপিও তুখোড় গতিতে বেড়ে চলেছে যা দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি সুসংবাদ। দেশের সার্বিক অর্থনীতির চাকা সচল রেখে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশের সরকার এবং নিয়ন্ত্রণসংস্থাগুলো বদ্ধপরিকর।
পুঁজিবাজার মূলধন / নমিনাল জিডিপি অনুপাত
[table id=5 /]
Muhammad Rakibul Hasan
November 25, 2020GDP is an important indicator of economy of a country. The writer of this article has written pretty well and made this easy to understand. Keep it up good work.
admin
November 25, 2020Thanks for your kind comment