Floor Price and new Circuit Braker Rules | ফ্লোর প্রাইজ এবং নতুন সার্কিট ব্রেকার রুলস
বিএসইসি (BSEC) এর নতুন সার্কুলার অনুযায়ী বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ফ্লোর প্রাইজ (Floor Price) এবং নতুন সার্কিট ব্রেকার (Circuit Breaker) রুলস করা হয়েছে এবং ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে একটি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে।
নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারনের যে বিধিমালা বা অর্ডার ইস্যু করেছে বিএসইসি তাতে বলা হয়েছে –
১. প্রতিটি স্টকের ওপেনিং প্রাইজ ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখের পূর্বের ৫ দিনের ক্লোজ প্রাইজের এভারেজ প্রাইজ হবে এবং এই এভারেজ প্রাইজটি হবে স্টকের জন্য ফ্লোর প্রাইজ (Floor Price) অর্থাৎ শেয়ারের প্রাইজ এই ফ্লোর প্রাইজের নিচে আসতে পারবে না। উদাহরন স্বরুপ যদি বলি “এবিসি” কোম্পানির গত পাঁচ দিনের (১৯ মার্চ ২০২০ এর পূর্বে) ক্লোজ প্রাইজ হচ্ছে – ২০, ১৮, ১৬, ১৪ ও ১২ তাহলে তাদের গড় প্রাইজ হবে {(২০+১৮+১৬+১৪+১২)/৫} = ১৬ টাকা। এবং এই ১৬ টাকা হচ্ছে “এবিসি” কোম্পানির জন্য ফ্লোর প্রাইজ যার নিচে স্টকের প্রাইজ নামতে পারবে না। এখন আজ যদি ট্রেড শুরু হয় তাহলে “এবিসি” কোম্পানির ট্রেড শুরু হবে ১৬ টাকা থেকে এবং শেয়ার প্রাইজ ১৬ টাকার নিচে নামতে পারবে না কারন এটি “এবিসি” কোম্পানির জন্য ফ্লোর প্রাইজ। এখন যদি ২০ মার্চ দিন শেষে “এবিসি” কোম্পানির প্রাইজ ক্লোজ হয় ১৭.৬ (১৬*১০%) বা আপার সার্কিট লিমিটে তাহলে পরের দিনের জন্য ওপেনিং প্রাইজ হবে লাস্ট ডে এর ক্লোজিং অর্থাৎ ১৭.৬ টাকা এবং এখান থেকে ১০% প্রাইজ বাড়তে পারবে এবং কমতে পারবে কিন্তু ১৬ টাকা বা ফ্লোর প্রাইজের নিচে প্রাইজ আসতে পারবে না।
২. এখন আশি আপার লিমিটে, এই ক্ষত্রে পূর্বের নিয়ম ফলো করা হবে, অর্থাৎ ১০% দাম বৃদ্ধি পেতে পারবে ১-২০০ টাকা মূল্যের শেয়ার; ৮.৫% দাম বৃদ্ধি পেতে পারবে ২০১-৫০০ টাকা মূল্যের শেয়ার; ৭.৫০% দাম বৃদ্ধি পেতে পারবে ৫০১-১০০০ টাকা মূল্যের শেয়ার; ৬.২৫% দাম বৃদ্ধি পেতে পারবে ১০০১-২০০০ টাকা মূল্যের শেয়ার; ৫% দাম বৃদ্ধি পেতে পারবে ২০০১-৫০০০ টাকা মূল্যের শেয়ার; ৩.৭৫% দাম বৃদ্ধি পেতে পারবে ৫০০০ টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার।
***এই নিয়ম পরবর্তী নোটিশ দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সকল বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য DSE তে লিস্টেড সকল শেয়ারের ফ্লোর প্রাইজ (Floor Price) আমরা এখানে দিয়ে দিচ্ছি, যার নিচে দাম কমতে পারবে না। ফ্লোর প্রাইজ (Floor Price) ডাউনলোড করতে ক্লিক করুনঃ Floor Prices from 19 March 2020